১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম মানসিক চাপ তৈরিকারী হরমোনের
নিঃসরণ কমায়, সুখি হরমোন হিসেবে
পরিচিত এনডোরফিনের মাত্রা বাড়ায়।
তাই যত ব্যস্তই থাকুন না কেন একটু
সময় বের করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
২. ঘুমান
ঘুম শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠার একটি
নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। নিয়মিত সাত থেকে
আট ঘণ্টা ঘুমানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. সঠিকভাবে খান
মানসিক চাপে থাকলে খাওয়ার
প্রতি অনেকেরই অনীহা হতে পারে।
এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি
পান করুন, দিনে অন্তত ছোটবড়
মিলিয়ে ছয় বেলা খাবার খান।
৪. শিথিল থাকতে শিখুন
মানসিক চাপের সময় দেহ ও মনকে শিথিল রাখা জরুরি।
মানসিক চাপের কারণ সহজেই চলে যাবে না।
এটা দূর হতে সময় লাগবে।
তাই এসময় নিজেকে শান্ত রাখা জরুরি।
মনকে শিথিল রাখতে হালকা ধাঁচের গান শুনুন
৫. নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন
খারাপ চিন্তা হয়তো সবসময় এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
তবে চেষ্টা করুন ইতিবাচক চিন্তা করতে।
ভাবুন যা চাইছেন তা ইতিবাচকভাবেই পাবেন।
এটা আপনাকে মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করবে।
৬. কাছের বন্ধুর সাথে কথা বলুন
মানসিক চাপের কারণ নিয়ে কাছের বন্ধুর সাথে কথা বলুন।
বন্ধুকে বলুন, আপনাকে সাহায্য করতে।
তবে এমন বন্ধুকে বলবেন না, যে আপনাকে
বুঝবে না অথবা একপর্যায়ে আপনাকে উপহাস করবে।
৭. অতিলোভ করবেন না
অতিলোভী ব্যক্তি অর্থ-কড়ি, ধন-দৌলত,
পদমর্যাদা ইত্যাদি বৃদ্ধির চিন্তায় বিভোর থাকে।
যদি সামান্য টাকা-পয়সা হাতছাড়া হয় বা চাকুরীর
প্রমোশন থেকে বঞ্চিত হয় তবে তার হাহুতাশ দেখে কে?
সুতরাং অল্পে তুষ্টি মানসিক শান্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
৮. নিজের সাথে কথা বলুন
সর্বোপরি নিজের সাথে কথা বলুন।
কোন বিষয়গুলো আপনাকে মানসিক চাপে ফেলছে?
কী করলে চাপ কম হতো? বর্তমানে কী অবস্থা এর
পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কী করতে পারনে এগুলো ভাবুন।
চাপ দূর করতে কী করা প্রয়োজন,
এর জন্য একটি তালিকা তৈরি করুন।
আপনার চাহিদা অনুসারে তালিকাটি সাজান এবং
সেই তালিকা অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
এই পদক্ষেপগুলোর চর্চা মানসিক
চাপ দূর করতে সাহায্য করবে।
Leave a Reply